Tuesday, September 27, 2011

Poetry 9 of series 1

৯.
আমরা কি রান্নাঘরটি দেখতে চাই না
হ্যা আমরা  অবস্চয় চাই 
দূর থাকে দুরপাল্লার বসে গদি গদি করে আসা মানুষেরা উত্তর দেয়
একটাকার বিনিময়ে তাদের সেই সৌভাগ্য প্রদান করা হলে
তারা দেখে তিন তালা প্রকান্ড ঘরে কয়েক সাত লোক
ও বারোসো হাঁড়িতে প্রভুর জন্য শোরসপচারে রান্না হচ্ছে 
আমরা কি অন্ন ভোগ খাতে চাই না 
না আমরা চাই 
দূর থাকে দূর পাল্লার বসে গাদা গদি করে আসা মানুষেরা ততটা প্রত্যয় পাই না
যত টাকার বিনিময়ে তাদের সেই সৌভাগ্য প্রদান করা হবে প্রভু তাদের আদৌ ততটা সৌভাগ্য দেন নি 
 তাই তারা সুধু রান্না ঘরটি দেখে - বাইরের ঘুল ঘুলি থাকে রান্নার উনিক পদ্ধতি দেখে
রান্না ঘর থেকে হায়দ্দ্রেনে বয়ে আসা ভাতের ফ্যান ও ডালের স্রোত দেখে 
দেখে শুকনো থট চাটে আর যাবার আগে প্রভুর নামে জয়ধনী দেয়.  
  

Wednesday, September 21, 2011

Poetry 8 of Series 1

#

৮.

পাঁচ বছরের বেশী বয়স্ক শিশুরা ফাস্ট-ফুড খেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে 
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: 'পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষদ্ধ'
রেলিং-এর ফাঁকগুলো বেয়েরা রকমের বড়
ফাস্ট-ফুড পোষ্য শিশুদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি উচ্চারিত শব্দেই থাকে 
আগে-পিছে মাত্র শ'দেড়েক লোক
যে সরু পথ বেয়ে উপরে উঠলে প্রভুর দেখা মেলে সেই পথ সংগত কারণেই বন্ধ 
কেবল গুলা পায়রাগুলই বকম বকম করতে করতে জানায় সমবেদনা
পান্ডাদের শক্ত বাহু শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখে ভক্তদের
কেও বা পান্ডা কলকাতার তো কেও বীরভুম-মুর্শিদাবাদের 
ক্রমশ ভারী হয়ে আসে বাতাস - প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্করা যে যার স্বভাবসুলভ চেচিয়ে ওঠে 
ঘড়িতে সকাল দশটা-কুড়ি, আর দশমিনিট  পরে প্রভুর খাদ্য গ্রহণ
আজকের মতো বিনা-ভেটে প্রভুকে দর্শণ করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট 
বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের চঞ্চল হয়ে উঠে নাড়ী.
স্বর্গের দরজা চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যেন শত শত আদমের আর্তনাদ 
'খোল খোল দরজা খোল, প্রভু .................................'
দশটা-বাইশ - হঠাত-ই খুলে যায় সিনহ দরজা 
অধীর উত্তেজনায় মাতোয়ারা মানুষ দিগবিদিগ ভুলে চেঁচিয়ে ওঠে 
'জয় প্রভু, জয় প্রভু ............................ দেখা দাও প্রভু'
শহর বাঁচাতে বর্ষাকালে ড্যামের ছেড়ে দেওয়া গ্রীষ্মের জল যে উল্লাসে গিলে খাই গ্রাম-বাংলা 
সেই উল্লাসে পিছনের জনতার স্রোতে খর-কুটো ভেসে যায় সামনের মানুষেরা 
চড়া স্রোত-ও তয়রি হয় কিছু যুবক ও তাদের অস্থির পেশী শক্তির আস্ফালনে 
আপত্কালীন তথ্পরটাই গড়ে তলা সরকারি বালির বাঁধ পুলিশের ঢাল নিমেষে উবে যায় 
শেষ-পর্য্যন্ত চোখ মেলে তাকাবার সুযোগ যদি যায় পাওয়া 
ঝটিকা বন্যার পর পরে থাকা কিছু ভাঙা-চড়া বিধস্ত বাড়ি-ঘরের মতো 
মানুসের মলিন মুখ ও করুন চোখের ভান্সা পড়ে
ততোধিক উল্লাসে চিত্কার করা যায় - 'জয় প্রভু, জয় প্রভু............দেখা দিলে প্রভু, আমি ধন্য'.