"আমাকে আমার মতো মনে করতে পারাটাও একপ্রকার অর্ধসত্য - যার জন্যে কোনো যুক্তিগ্রায্য শৃঙ্খলা নেই বলে অনেকের মতো আমিও বিশ্বাস করেছি; সুতরাং ব্যক্তিগত জীবন দর্শন অপেক্ষা শিল্প-সচেতন প্রকাশ ভঙ্গিটিই এখন সভ্যতার নিয়ন্ত্রণশক্তি - যাকে পরিচালনা করে মন এবং মেধা এবং যার মধ্যে একটি আশারন্জক পটভূমিও বর্তমান"
কিছুই করে না মুগ্ধ, আশ্চর্য সুন্দর তুমি ! আলোচনা কর কত কিছু - ঠোঁটের মুচকি হাসির মতো; শেষ বিকেলের মরা আলোয় বাংলা কোচিঙে প্রথম দেখা, তারপর থেকে ঝুলবারান্দার নিচে দাঁড়িয়ে কিশোর: মাঝে মাঝে বাড়ির গ্রিলের আড়ালে ভেসে উটছে মুখ, স্চ্কুলছাত্রী তোমার মতো চঞ্চল একটি তারাও দেখিনি; অনেক মেঘই হেসে হেসে গেল ভেসে, ফাঁকি দিয়ে চাঁদকে l
আলোর নীচে নীল অন্ধকার মৃত্যু ডুবে যাওয়া অতীত, শহর-বন্দর ভেসে ওঠে যা কিছু রয়েছে অবশিষ্ট লিথ-ও-গ্রাফী যেন শেষ বিচারের জন্য জাদুঘরে অপেক্ষা করে পোকায় কাটা মমি আমি নই ফ্যারাও-এর উত্তরসুরি, হতে চাইও না মমি তবু আপশোষ, আমার নিজের কোনো নাই লিথ-ও-গ্রাফী ধীরে ধীরে আমাকেও গিলে খাবে নীল অন্ধকার বিস্মৃতির নীল আঁধার থেকে আমি দেখব আমার উত্তর প্রজন্ম পোকায় কাটা মমি ও আমার কালো আঁচর কাটা খাতা তারা জাদুঘরে রাখে ll
নীরিশ্বরবাদ বড়ই জটিল মাথাভাঙ্গা অলংকৃত মন্দির, বিগ্রহ বিহীণ সিল করে দেওয়া গর্ভগৃহ বা সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়া মূল মন্দিরও একই কথা বলে সুধু অনুপম পুরাকৃতির অবশিষ্টটুকুই কি নিয়ে আসে এই ঝড় ভাঙা মূর্তি বা রথচক্র সূর্য দেবের আজও অমলিন মিথুনরত ভাস্কর্য খোদাই করা দেয়ালে খুজলে পাওয়া যায় শৈসব-কৈশোর-যৌবন স্বভাব অনুযায়ী অতীতকে ভুলে থাকার চেষ্টা করাই যায় তবু পাঁচহাজার বছরের ভাঙাচোরা স্থাপত্য তো বিগ্রহই নতজানু হয়ে বসি তার সামনে আর অবাক বিস্ময়ে দেখি আমাদের ঐতিয্য ও তার ভবিষ্যত ll