#
৪.
গোলাপী রং ভালবাসতে বলে দুধে ফেলছি বিষ আলতা
এমনসময় হঠাত নিজেই হাতে তুলে নিলে বিষাক্ত তীর
শুন্য বুকে হাত রাখতে রাখতে দেখলাম
দূর থাকে সাপের খোলসের মতো তুমি
জন্ম-দিনের রাত্রিতে আড়াআড়ি ভাবে আছ সুয়ে
তোমার পাশে নতুন সাথী দখল নিয়ে আমার জমি
বন্ধুর শত্রুতা পেয়ে শত্রুর বন্ধুত্ব চাওয়াটা হয়ত দস্তুর
সহমরণের তাপে জ্বলে যায় যত ছিল শরীরী সুখ ll
#
৩.
সেদিন সারাদিন স্নায়ুতে ছিল তোমাকে মাথায় করে রাখা
সোনাঝুরিতে নিসর্গ দ্যাখো, গীতাঞ্জলিতে সিনেমা দ্যাখো, দ্যাখো নাট্ট্যঘর
সামনে আসীন নক্ষত্র, দুটি হাত তার কি তুলতুলে গরম
পাশে বসে থেকে দেখেছি ভালোবাসার ঘুমন্ত মুখ
নরম কোলের ওপর সুন্দর ওই বুকের স্পন্দন ,
ছায়ায় জ্বলে উঠা চোখ আর চোখের স্থির দৃষ্টিতে জ্বলন্ত মুখ ll
#
২.
তুমি মৌন মৌচাক! আকৃষ্ট আমি মৌমাছি
হঠাত বিকেলটা দেয়ালে পিঠ দিয়ে সার্কাসের বিজ্ঞাপনের মতো
হওয়া এসে উড়িয়ে দিল ছোট্ট ছোট্ট চুল
অসহায় গলায় বলি - এ কি রকমের ইয়ার্কি ?
তুমি বললে - এই খেলাটা ফুরোলে আমাকে নতুন খেলা সেখাবে l
তরুণ নই, বালক নই, ভালবাসাও জানি না -
আমাকে তুমি শিখিয়েছিলে সর্বনাশা খেলা
সুন্দরের নখের মধ্যে ছুরি, ধারালো দাঁত -
লুকিয়েছিল, বুঝিনি আমি প্রেম না ভালোবাসা
জেনেছি শুধু উষনতার শীতল পরিণতি
শয্যাসুখে কেটেছিল দুপুর, তবুও কেন জানি না
বিষন্ন কিছু শব্দে, আজও কানে বাজে তোমার নুপুর ll
#
১.
কিছুই করে না মুগ্ধ, আশ্চর্য সুন্দর তুমি !
আলোচনা কর কত কিছু - ঠোঁটের মুচকি হাসির মতো;
শেষ বিকেলের মরা আলোয় বাংলা কোচিঙে প্রথম দেখা,
তারপর থেকে ঝুলবারান্দার নিচে দাঁড়িয়ে কিশোর:
মাঝে মাঝে বাড়ির গ্রিলের আড়ালে ভেসে উটছে মুখ,
স্চ্কুলছাত্রী তোমার মতো চঞ্চল একটি তারাও দেখিনি;
অনেক মেঘই হেসে হেসে গেল ভেসে, ফাঁকি দিয়ে চাঁদকে l
#
১৫.
আলোর নীচে নীল অন্ধকার মৃত্যু
ডুবে যাওয়া অতীত, শহর-বন্দর
ভেসে ওঠে যা কিছু রয়েছে অবশিষ্ট লিথ-ও-গ্রাফী
যেন শেষ বিচারের জন্য জাদুঘরে অপেক্ষা করে পোকায় কাটা মমি
আমি নই ফ্যারাও-এর উত্তরসুরি, হতে চাইও না মমি
তবু আপশোষ, আমার নিজের কোনো নাই লিথ-ও-গ্রাফী
ধীরে ধীরে আমাকেও গিলে খাবে নীল অন্ধকার
বিস্মৃতির নীল আঁধার থেকে আমি দেখব আমার উত্তর প্রজন্ম
পোকায় কাটা মমি ও আমার কালো আঁচর কাটা খাতা তারা জাদুঘরে রাখে ll
#
১৪.
নীরিশ্বরবাদ বড়ই জটিল
মাথাভাঙ্গা অলংকৃত মন্দির, বিগ্রহ বিহীণ সিল করে দেওয়া গর্ভগৃহ
বা সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়া মূল মন্দিরও একই কথা বলে
সুধু অনুপম পুরাকৃতির অবশিষ্টটুকুই কি নিয়ে আসে এই ঝড়
ভাঙা মূর্তি বা রথচক্র সূর্য দেবের আজও অমলিন
মিথুনরত ভাস্কর্য খোদাই করা দেয়ালে খুজলে পাওয়া যায় শৈসব-কৈশোর-যৌবন
স্বভাব অনুযায়ী অতীতকে ভুলে থাকার চেষ্টা করাই যায়
তবু পাঁচহাজার বছরের ভাঙাচোরা স্থাপত্য তো বিগ্রহই
নতজানু হয়ে বসি তার সামনে আর অবাক বিস্ময়ে দেখি
আমাদের ঐতিয্য ও তার ভবিষ্যত ll