Wednesday, June 22, 2011

Poetry 7 of Series 1


#
৭.

আগুনটা উস্কাবার দরকার নেই
বেশ জ্বলছে
দূর শালা মরেও সবাইকে জ্বালাচ্ছে
শরীর ভর্তি জল
আরে না না মার লাঠির বাড়ি
কার্বন ঝরে যাবে
একসাথে প্রশান্ত মহাসাগরের
অগ্নেও মেখলা
একসাথে চোদ্দটা ভোজের
উননে আগুন
কয়েকজন ভিখারীমানুষ
গরম হল্কা 
সর্গদ্বারে এসে বসে থাকা 
গভীর অপেক্ষায়
ধর্মরাজার বহন সঙ্গ দেয়, খায়
আগুনের উচ্ছিষ্টাংশ 
কেবল একটি কিশোর নীল চোখে
সমুদ্রের জল 
কেবল একটি তরুণীর ফর্সা সিঁথিতে
সমুদ্রের ফেনা 
আগুনটা উস্কাবার দরকার নেই
বেশ জ্বলছে..

Poetry 6 of Series 1

#
৬.

কেন যে পাগল হলে
গিললে আবর্জনা রাশি রাশি
সুদিনের আলেয়া আলোয় 
মনেরই আপন ভুলে তুলে নিলে
ক্রুদ্ধ কুঠার সংস্কার বেবাকভূলে
কুঠারের মুখই ভোঁতা 
দূর ছাই তাতে তাতে কি হবে
সে ঠিকই পালিয়ে যাবে 
তোমার মুখে ছাই ছিটিয়ে 
খুঁজে পেতে নিজের মানুষ
করলে তো প্রচুর ভরং
ফকিরও মুখ বেকায় এখন তোমায় দেখে 
তুমি তবু মুচকি হাসো 
হেসে ভাবো লোক ঠকালে  
আজও খোজ মনের মানুষ 
তীর্থের নোংরা তলে..

Monday, June 20, 2011

Poetry 5 of Series 1

#
৫. 

ভাঙা টিউবলাইট                        ল্যাম্প পোষ্ট
ল্যাম্প পোষ্ট                             মলিন শাড়ি
মলিন শাড়ি                             চঞ্চল  চোখ.


ফাঁকা ডাস্টবিন                         ইউজ মি আর্তি 


ইউজ মি আর্তি                          মলিন শাড়ি
ল্যাম্প পোষ্ট                             কাকের বাসা
কাকের বাসা                            ভাঙা টিউবলাইট..

Poetry 4 of Series 1

#
৪. 
 
বিষন্ন বিবর্ণ দুপুর
দূর থেকে দেখি সামনে এক চত্ব অটাকামা
বাতাস এসে এলোমেলো নকশা এঁকে গেছে বালির বুকে
আরেকটু এগিয়ে দেখি - এক নুলিয়া - রদ্ফাতা সাদা টুপিতে লেখা নম্বর নয়


ইতস্তত বিক্ষিপ্ত উত্তল পিঠের কচ্ছপের মতো কালো ত্রিপলে বাঁধা পসরা
সমুদ্র তার চ্যালেন্জ জানিয়ে ফিরে যাচ্ছে বারে বারে
নিজের একাকিত্বকে দিনের উজ্জ্বল - আলোয় দেখার এমন সুযোগ কখনো হয়নি আগে
এমনকি আমার সঙ্গী হতে রাজী হয় না একটি পাখীও


ক্রমশ সময় বাড়ে, ডিউটি শেষে ঘরে ফেরার তাড়া তারাদেরও থাকে, স্পষ্ট্য বোঝা যায়
হঠাত হিন্দী গানের সদর্পিত চিত্কার ও শাঁখের আওয়াজের আহ্ববানে চোখ মেলে দেখি
চারিদিকে বসে গেছে আনন্দের হাট - পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা 
রঙিন আলোয় রঙ্গিন মনের জনতাকে আরো বেশী রঙিন লাগে 


ধীরে ধীরে রাতও বাড়ে - ফিকে হয়ে আসে মানুষের ঢল
আর আমি আবিষ্কার করি - যে সমুদ্রের সাথে আড়ি করে শুয়েছিলাম দূরে
সেই সমুদ্রই এসে ঠান্ডা হাতে ছুএছে আমার পা 
আমি বলি - এতক্ষণ চ্যালেন্জ জানিয়ে আবার পা ধরা কেন?


উত্তরে সমুদ্র কেবলই  হাসে
আমি যতই জিগ্গাসা করি -
সে কেবল হাসতেই থাকে, আর দেখি 
সমুদ্র ধীরে ধীরে গ্রাস করছে আমার কোমর, আমার বুক ........


চিত্কার করে উঠি - না আ আ আ আ আ ........
লাফিয়ে উঠে ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হই
সসুদ্র তখনও হাসতে থাকে
রাত্রে লেপের তলায় ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেও আমি শুনতে থাকি তার শাসন..

Friday, June 17, 2011

Poetry 3 of Series 1


#
৩.

দূর দিগন্তের দিকে এই অবলোকন
সীমানা ছাড়ার হালকা অথচ ছন্দময় স্রোতে
এক অর্ধ সব্চ্চ্ব-চলমান-অবতল-সবুজ আয়না ক্রমে ভেসে যায়
ভেঙে যায় তার রহস্যহীন কাচ, নরম সাদা ফেনা 
পড়ে থাকে সুধু এক-আকাশ নীল
সেইখানে, গারো তলদেশে গোলাপী মুক্তর খোঁজে ডুবুরীর সলিল সমাধি
এরকমই ক্লান্ত করেছে শরীর, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসময় উত্থান-পতন
হেমন্তের মায়াবী বাগানের গল্প মনে হতে পারে
অতর্কিত ঝান্ঝাই যখন সামান্য হাঁসির কোণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত মেঘ
দুরে-উড়ে-ঘুরে-ঘুরে এক টানে খুলে ফেলে স্নানের পোষাক
আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর পায়ের নিচে সরিয়ে যায় বালি 
দু'চোখে ঘনিয়ে তোলে অতি-নীল-জল-আঁধার - 
গোলাপ শরীর ছেঁকে দু'ঠোঁটে লাগিয়ে রাখে ওয়াইন-কালার
মুহুর্তের বজ্রপাতে ঝলসে ওঠে সবুজ রহস্যহীন আয়না 
সন্ত্রাস তাড়িত মার্সেডিজই শুধু ছোটে উদ্ভ্রান্ত-আকাশ-রাস্তায়, একা.. 

Thursday, June 16, 2011

Poetry 2 of Series 1

#
২. 

শূন্যে উজ্জ্বল আত্মপ্রকাশ 
আবির্ভাবের সময় থেকে দেবতা বলে মানা
উপসাগরের তীরে সাত-সকালে তাকে না-পাওয়া আঁধার
তা যদিও কমে অস্থিরতা বাড়ে
সৈকতে চটুল হিন্দী গান আর মিলে-মিশে একাকার শাঁখের আওয়াজ
হঠাতই বেড়ে যাই নারী-পুরুষ অনুপাত
এক অদ্ভুত কবষ্নতা, সুখ-সুখ ভাব সকলের শরীর ও মনে
আনন্দপাঠশালা, শিশুদের মুখে চামচ, চামচে মার্বেল
মার্বেল তলা দেখার সৌভাগ্য সকলের হয় না 
-একথা সুখশিকারীদের বোঝার জন্য নয়.
নীলের শরীরে ছিঁটে-ফোঁটা রক্তের দাগ
'সুখ-সুখ'-রা আঁতকে উঠলো - গুপ্ত হত্যা সপ্তাহের জন্য কারফিউ
ছিন্ন-ভিন্ন শরীরে অনেকটা সরে হিন্দী সিনেমার হিরো উঠে দাঁড়িয়েছেন
ভক্ত - চেঁচিয়ে উঠলেন - 'পূর্ণ দেখা দিলা ভগবান! জয় ভগবান.'..

Poetry 1 of Series 1

#
১. 


শিশুর মায়ের মতো কখনো ঐতিহ্য বড়ই সচেতন 
সময়ের সাথে লড়তে লড়তেও মেলে ধরে নিজেকে
কখনো কখনো সে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টায় খন্ড-বিখন্ড
রুক্ষ বুকের উপর স্নিগ্ধ যুগলরতন
অর্ধনারীশ্বরের অপরিহার্য দুটি আত্মার মতো অপরিহার্য হয়েও রয়ে যায়
সুপ্রাচীন অতীতের রামায়ন-মহাভারতের স্মৃতি নিয়ে
অবতার পুরুষের বিখ্যাত ভক্তের দল অগৌরবে আজও বর্তমান 
বিশ্বাসী আনন্দ পায় অবিশ্বাসিও কষ্ট পায় না 
এইরকম খন্ডিত হৃদয়ে আরেক আত্মা আজও দাঁড়িয়ে আছে
উদয়ের পথে নিজেকে উজার করে দিয়ে রসিক জনের কাছে অপরিহার্য হয়ে..

Sunday, June 12, 2011

Poetry 10

ডিম-লাইটের ওপরে দেখেছ?
কতদিন ধরে, হয়ত আবহমান কাল সে বসে আছে
লক্ষ করেছি তার প্রতিটি পেশির স্পন্দন
শুনেছি তার নিঃশব্দ পদচারণা আলোটির ওপর.
সরিয়ে দিতে গিয়া হাত-ই রক্তাক্ত হয়েছে শুধু
পোকাটা রয়েই গেছে.


কাজের যে মায়েটি রুমাল হাতে করে আসে
সেও কেন যেন ভুলে যায় সেই কবেথেকে
স্থির ভাবে এক কনে থাকা ডিম-লাইটটার কথা
সে কিন্তু ভোলে নি, স্থিতপ্রজ্ঞ মুনির মতই
সে প্রেতসমাধিতে লীন, জটা জালে বন্দী ডিম-লাইট
ক্ষীণ থাকে ক্ষীণ হয়েছে শুধু তার আলোটুকু
কিন্তু পোকাটা রয়েই গেছে.


সেই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণ আলোতে 
লিখতে কষ্ট হলেও লেখাতো যেত
আজ অন্ধকারে নেই কাজ
হয়ত এই ভালো পোকাটিকে খোজা 
কাজে-অকাজে সময় কাটানোর চেয়ে. 
তার অস্তিত্ব অন্ধকারের নিশ্ছিদ্র মখমলে 
হাতড়াতে হাতড়াতে হাত-ই রক্তাক্ত হয়েছে শুধু 
পোকাটা রয়েই গেছে..

Poetry 9

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি থেমে যায়
তৃস্নার্ত চাতক বোবা হলে কোকিলের গান সোনা যায়.

ঘুম পায়
ঘুম ছুটে যায়
বিনিদ্র রাত্রিতে স্বপ্ন ও ঘুম একাকার হয়ে যায়.

আলো জ্বলে 
আলো নিভে যায় 
অন্ধকারের ছায়ায় পৃথিবী মায়াময়, বোঝা যায়.

সে আসে
সে চলে যায় 
শুধু স্মৃতিটুকু সম্বল তৃষ্ণার্ত-বিনিদ্র-অন্ধকার..

Thursday, June 9, 2011

Poetry 8

অসুখ - জেনো এক ঘুমছুট রাত 
কখনো বিধি ভেঙে শোনায় গান
রাস্তায় আরো স্পষ্ট হয় কুকুরের ডাক 
ঘুমন্ত পাহারাদার বা ভাঙা টিউবলাইট জান্তব সত্যি
মাঝে মাঝ্হে সুধুমুধু চমকে দিয়ে চলে যায় ট্রাক 
নাইট লাম্পের এল ও মাকড়সার জাল একাকার 
মাঝে আম্ঝে সবপ্নে সুধু ভাবি আধবন্ধ চোখে  
আসলে আমি এক অন্ধকার লোক
আসলে অসুখের চোখে ঝাপসা-ধুসর আলো দরকার 
পর্যাপ্ত জলেরও খুব প্রয়োজন আজ 
সকাল মানেই হারিয়ে যাওয়া - এক থেকে অসংখ্য ডাক্তার..

Poetry 7


আমার একটি কামরার রাজত্বে দুটি মাত্র জানালা 
কোনো কোনো ঠান্ডা রাত্রে ঝড়ো হওয়া আসে,
একটা জানালা বন্ধ করলে অন্যটি থরথর করে কাঁপে;
তাই তখন দুটি জানালায় বন্ধ করতে হয়.
আর তার পরেই হুইসেল বেজে ওঠে.
বোঝা যাই না এমন গতিতে চলে যায় বারোটার ট্রেন.
এর পরের মুহুর্তটাকেই আমি সব থেকে ভয় পাই,
দুই জানালায় ঘসা কাচে ভেসে ওঠে দুই নারীর ছায়া শরীর..

Poetry 6

টিকটিকিরা আসলে ঘুলঘুলির বাসিন্দা.
দিনের বেলায় বেরোনোর সাহস তাদের নাই;
তবুও তারা যে আছে শব্দে বোঝা যায়.
শব্দই ব্রম্ভ আর তারা ব্রম্ভো জ্ঞানী.
ঠিক ঠিক সময়ে তারা টিকটিক করে বেজে ওঠে.
যেন আদি কালের ঘড়ি সময় না বুঝে অবুঝ শিশুর মতো কাঁদে.


টিকটিকিরা আসলে ঘুলঘুলির বাসিন্দা.
তোমার মাথার উপর পড়লে, রাজা থুড়ি মন্ত্রী হতেই পার.
তবে যেহেতু তারা দিনের বেলায় অন্ধকারে,
মাথায় চড়ে ডান বা বাম কোন দিকে গেল ভেব না.
আজকে ভাববার সময় নেই, চুপ-চাপ করো কাজ;
যেন না আমাদের দেশটা পৃথিবীতে নেই,
টিকটিকির মতো তৃতীয় বিশ্বের মাথায় চড়ার অপেক্ষায় আছে.


টিকটিকিরা আসলে ঘুলঘুলির বাসিন্দা. 
তাই ঘুলঘুলিটা পরিষ্কার কোর না,
কারণ সবাই জানে টিকটিকির শরীর ময় বিষ.
ঝাড়ু হাতে ঠাই দাঁড়িয়ে থাক ঘুলঘুলির নীচে. 
আশ্চর্য এই যে আমরা রাজা বা মন্ত্রী না হয়ে,
দিনেদিনে কেমন যেন টিকটিকি হয়ে যাচ্ছি.
আমরা তো টিকটিকি হতে চাইনি..

Monday, June 6, 2011

Poetry 5

রাস্তার কুকুরগুলো রং বদলাচ্ছে 
মেলানিসম-এটা কী মেলানিসম!
কেও আমাকে উত্তর দেয় না
আগে কত রং ছিল - সাদা, লাল, খয়েরী
যদিও অধিকাংশই ছিল মিশ্র রঙের
-উদ্যান বিদ্যার উপহারের মতো
বর্ণালী জানে না কালো রঙের কথা 
সাতটি রঙের বিসুধ্তা একসাথে নষ্ট হলে কালো বলে
আশ্চর্য আজ রাস্তার অধিকাংশ কুকুরের রং কালো
দিনের বেলায় তাদের দেখামেলে সামান্যই
যদি না কোনো অভাগা বা বেপারার কুকুর এসে পড়ে
রাত্রিতে তারা যথেষ্ট সক্রিয় - গন্ধে বোঝা যায় 
চুপচাপ থাকতে হয় কিছুটা সময়
গন্ধটা নাকে সয়ে গেলে দেখি
উচ্ছিষ্টের অপেক্ষায় অন্ধকারে কয়েক জোড়া চোখ.

Saturday, June 4, 2011

Poetry 4

আমার নিজের আয়নাতে আমি রোজ নিজের মুখ দেখি 
রোজ রোজই নিজের মুখটি কেমন যেন বদলে যায়
কোনো কোনো দিন এতই বদলে যায় যে ভয় পাই 
আজ আমি নিজেই নিজের বিবিধ মুখ দর্শনে
বুঝতে পারি না - আমি কাকে ভয় পাই 
নিজের মুখ না নিজের আয়নাকে

আমার যদি দশটা মুখই হবে
আয়না আমাকে দশানন দেখায় না কেন
আয়না বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে তা বিশ্বাস যোগ্যে নয় 
তবুও পিছন থেকে কেও বলে - লোকটা পাঁচফোরং
পাঁচ মুখে পাঁচ রকমের কথা বলে
তাহলে আয়না আমারি পক্ষে আমারি বিরোধিতা করে 

ভেঙে ফেলতেই টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে কাচ
তার সাত সহস্র টুকরোর এক একটা টুকরোতে দেখা যায়
এক এক রকমের বিকৃত মুখচ্ছবি 
তা দেখায় আমি হেঁসে উঠি এরকমও ভাবি
রাস্তার মানুষেরা আমাকে চিনতে পারে নি .

Friday, June 3, 2011

Poetry 3

রাতের অন্ধকারে 
সাদা আলোর গন্ধে নেশা লাগলে 
আতুর কিছু পোঁকা আমার ঘরে আসে 
দিনের আলোতে 
ছায়ার রসে বুঁদ হয়ে 
দুটি চড়াই পাখী আমার ঘরে আসে 
পোঁকারা আসে নেশা করে মরতে  
পাখীরা আসে পোঁকা খেতে 
এভবেই রোজকার দিনলিপী লেখা হয় 
আর পাখীরা পাখীই পোঁকারা পোঁকাই.
 

Thursday, June 2, 2011

Poetry 2

নীল রঙের ট্রেনে কালো দিগন্তের দিকে 
যেতে যেতে কখনো কখনো সময় থমকে দাঁড়ালে
চেন্নাই প্লাটফর্মে দুরন্ত বালিকার রহস্যময় চোখ
ও ছওয়া ছুই-ই খেলা চোখে পড়ে
যা কখনো কখনো স্বর্গ রাজ্যের অধরা স্বপ্ন বলে মনে হয় 
গতিময় প্লেনের কিছু ছেঁড়া খোঁড়া মডেল
হাওয়াই মেলে দিলে পাখা 
সেই বালিকা হাততালি দেয়,
লাফায়, আনন্দে খিলখিলিয়ে হাসে 
সময়ের কাছে অসহায় পথিকের 
গড়ে তোলা কোনো নতুন ডানা মেলা স্বপ্ন
তার হাতে তুলে দিলে নীল থাকে গারো নীল
 হয় তার চোখ 
ছেঁড়া আর্ট পেপারের টুকরোয় লিখে দেয় 
আপনার যাত্রা হোক শুভো হোক

Wednesday, June 1, 2011

Poetry 1

কিনারাগুলো ভাঙ্গে প্রান্ত থেকে দূরে
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মিলিয়ে যায়
আনুপাতিক দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকে কিছুটা সময় 

সময়ের সাথে সাথে অনুপাতও বদলায়
কখনো বারে কখনো কমে 
কিনারাগুলো ভাঙ্গে প্রান্ত থেকে দূরে

যে দেখছে ভাঙছে সে নিজেও ভাঙছে 
ভাঙা ভাঙা ভাঙা 
আধখাওয়া এক চাঁদও পূর্ণিমাতে জাগে 

কে গড়ে, কেন গড়ে, আর গড়েই বা কোথায়!
শুধু আনুপাতিক পরিবর্তন ও তার অপরিবর্তিতা
কিনারাগুলো ভাঙ্গে প্রান্ত থেকে দূরে

আশ্চর্য এই ভাঙা পৌছতে পারে না মাঝখানে
দেশ ছাড়ার পূর্বে বৈরাগী সমুদ্র বা নদীতে দেখে ভাঙা ভাঙা দেশ
কিন্তু তবুও সে দেশ ছেড়ে যায়, যায় আর দেখে
কিনারাগুলো ভাঙ্গে প্রান্ত থেকে দূরে
ভাঙতে ভাঙতে পার একদিন নদী খেল খেত-খামার-গ্রাম
ভাঙতে ভাঙতে সাগরের পার সুএজের খালও এলো 
তবুও ভাঙার অপরিসীম গতিময়তা আজও চিত্কার কোরে বলে 
কিনারাগুলো ভাঙ্গে কিনারাগুলো ভাঙ্গে
কিনারাগুলো ভাঙ্গে প্রান্ত থেকে দূরে.