দূর থেকে দেখি সামনে এক চত্ব অটাকামা
বাতাস এসে এলোমেলো নকশা এঁকে গেছে বালির বুকে
আরেকটু এগিয়ে দেখি - এক নুলিয়া - রদ্ফাতা সাদা টুপিতে লেখা নম্বর নয়
ইতস্তত বিক্ষিপ্ত উত্তল পিঠের কচ্ছপের মতো কালো ত্রিপলে বাঁধা পসরা
সমুদ্র তার চ্যালেন্জ জানিয়ে ফিরে যাচ্ছে বারে বারে
নিজের একাকিত্বকে দিনের উজ্জ্বল - আলোয় দেখার এমন সুযোগ কখনো হয়নি আগে
এমনকি আমার সঙ্গী হতে রাজী হয় না একটি পাখীও
ক্রমশ সময় বাড়ে, ডিউটি শেষে ঘরে ফেরার তাড়া তারাদেরও থাকে, স্পষ্ট্য বোঝা যায়
হঠাত হিন্দী গানের সদর্পিত চিত্কার ও শাঁখের আওয়াজের আহ্ববানে চোখ মেলে দেখি
চারিদিকে বসে গেছে আনন্দের হাট - পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা
রঙিন আলোয় রঙ্গিন মনের জনতাকে আরো বেশী রঙিন লাগে
ধীরে ধীরে রাতও বাড়ে - ফিকে হয়ে আসে মানুষের ঢল
আর আমি আবিষ্কার করি - যে সমুদ্রের সাথে আড়ি করে শুয়েছিলাম দূরে
সেই সমুদ্রই এসে ঠান্ডা হাতে ছুএছে আমার পা
আমি বলি - এতক্ষণ চ্যালেন্জ জানিয়ে আবার পা ধরা কেন?
উত্তরে সমুদ্র কেবলই হাসে
আমি যতই জিগ্গাসা করি -
সে কেবল হাসতেই থাকে, আর দেখি
সমুদ্র ধীরে ধীরে গ্রাস করছে আমার কোমর, আমার বুক ........
চিত্কার করে উঠি - না আ আ আ আ আ ........
লাফিয়ে উঠে ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হই
সসুদ্র তখনও হাসতে থাকে
রাত্রে লেপের তলায় ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেও আমি শুনতে থাকি তার শাসন..